জেনে নিন একটি ইমারতের উপর কি কি লোড আসে,লোডের পরিমাণ কত ধরা হয়।
একটি ইমারতের উপর বিভিন্ন ধরণের লোড আসতে পারে । কিছু গুরুত্বপূর্ণ লোডের উদাহরণ হলো:
ইমারতের সাধারণ লোড:
১. স্থিতিশীল লোড: এটি ইমারতের ওজন বা মানব সংখ্যা দ্বারা উত্পন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইমারতের নির্মাণ পর্যায়ে স্থিতিশীল লোড ব্যবহার করা হয় যেমন নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি।
২. জীবন্ত লোড: এটি লোকের প্রবাহ বা জীবন্ত ওজন দ্বারা উত্পন্ন হতে পারে, যেমন লোকের গতিবিধিগুলি বা ব্যবহৃত উপকরণ।
৩. পরিসর লোড: এটি পরিবেশের পরিবর্তনের ফলে উত্পন্ন হতে পারে, যেমন বাতাসের কারণে উঠা গতিবিধি বা ভূমিকম্পের ফলে উঠা লোড।
ইমারতের সঠিক পরিমাণ লোড না ধরলে, কয়েকটি ক্ষতি হতে পারে:
১. ধর্মীয়তা ক্ষতি: ইমারতটি অমান্য স্থিতিতে রাখতে পারে এবং পাদচালক ক্ষতি
পেতে পারে। এর ফলে ইমারতের স্থিতি ও ধর্মীয়তা কমে যায়।
২. কারিগরি ক্ষতি: সঠিক পরিমাণের লোড না ধরলে, কারিগরি ক্ষতি হতে পারে এবং ইমারতের সুস্থতা ও নিজস্বতা কমে যায়। এটি অস্থায়ী বা স্থায়ী সমস্যার জন্য জন্মানো হতে পারে।
৩. সুরক্ষা ক্ষতি: যদি ইমারতে সঠিক নিরাপত্তা মানদণ্ড মেটা না হয়, ইমারতটি সুরক্ষা ক্ষতি পাবে। এটি মানুষের জীবন ও সুরক্ষার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে এবং কার্যকরীতা কমে যায়।
৪. পরিবেশ ক্ষতি: সঠিক পরিমাণের লোড না ধরলে, ইমারতে পরিবেশ ক্ষতি হতে পারে। এটি পরিবেশে সংকুচিত ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পারে এবং জনগণের জন্য সমস্যা হতে পারে।
৫. মানদণ্ড ক্ষতি: সঠিক মানদণ্ড মেটানো না হলে, ইমারতের মান এবং সামরিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে
পারে। এটি সম্পদের মান ও ব্যবহারিকতা কমিয়ে আনতে পারে এবং বাস্তবায়নে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
সঠিকভাবে পরিচালিত ইমারত সমাজে পরিবেশে উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সঠিক লোড পরিচালনার জন্য মানদণ্ড, নিরাপত্তা, শৃংখলা এবং সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজন। এছাড়াও, করিগরি পরিচর্যা, পরিস্থিতি মনিটরিং, নিয়ন্ত্রণপ্রণালী এবং উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট নিরাপত্তা উপকরণের ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া লোড কোন এলাকায় কত ধরা হয়:
একটি ইমারতের উপর যে ধরণের লোড পরিয়ায় যায় তা ভূমিকম্পে, নদী এলাকায় এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক পরিবেশের শর্তাদি উপর নির্ভর করে। এই ধরণের লোডগুলি ইমারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলির মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারে এবং সঠিক পরিমাণে ধরা না হলে ক্ষতিকর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। নিচে সাধারণত ধরা হয় লোডের উদাহরণ দেওয়া হলো:
১. ভূকম্পন লোড: ইমারতটি একটি ভূকম্পন এলাকায় অবস্থিত হলে, ভূকম্পের পরিমাণ ও ধরণ অনুযায়ী লোড ধরতে হবে। ভূকম্প সাধারণত ত্রিভুজাকার লোড বিন্দুর কাছাকাছি বা অনুপাতিক লোড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
২. নদী এলাকা লোড: যদি ইমারতটি নদী এলাকায় অবস্থিত হয়, তবে জলবাহী লোড বিবেচনা করতে হবে। এটি ইমারতে জলপায়ী কোণাগুলি নির্ধারণ করে এবং প্রয়োজনীয় জলবাহী কঠিন কাঠের ব্যবস্থা করতে সাহায্য করে।
৩. তীব্র ওলম্পিক লোড: কিছু ইমারতে অন্যতম কঠিন ওলম্পিক লোড নেয়া হয়, যা সাধারণত উচ্চমান ইমারতের জন্য প্রয়োজন হয়। এই লোডগুলি অনুমানিত পরিমাণ এবং ইমারতের সমর্থন প্রণালীর ভিত্তিতে পরিকল্পনা করা হয়।
আরও পড়ুন👉 লাইভ লোড বলতে কি বুঝায়,এটি সঠিক পরিমাণ না ধরলে কি কি ক্ষতি হতে পারে ইমারতের।
ইমারতের ধরন এবং স্থান বিশিষ্ট কারণে অন্যান্য লোড ও শর্তাদি পরিবর্তিত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, বিশেষজ্ঞ পরিচালকরা মূল্যায়ন করে সঠিক লোড পরিচালনার পরামর্শ দেয় এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলি কাঠামো ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নিরাপত্তা বিষয়ক সেবাদানকারীদের সাথে কথা বলতে পারেন অথবা আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
যোগাযোগের জন্য মেইল করতে 👉 এখানে ক্লিক করুন